অনলাইন সীমান্তবাণী ডেস্ক : ফরিদপুরে জেসমিন বেগম (৩০) নামের এক গৃহবধূকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে স্বামী মিলন শেখকে (৪০) যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামি মিলন শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর পুলিশ পাহারায় তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
সাজাপ্রাপ্ত আসামি মিলন শেখ ফরিদপুর সদরের বিলমামুদপুর এলাকার আক্কেল মোল্লার ডাঙ্গী এলাকার বাসিন্দা।
মামলার এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১১ সালে ফরিদপুর শহরের পশ্চিম আলীপুর এলাকার ইউনুস শেখের মেয়ে জেসমিনের সঙ্গে বিয়ে হয় মিলনের। তাদের সংসারে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে রয়েছে। স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদের জের ধরে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ সকালে বিলমামুদপুরের আক্কেল মোল্লার ডাঙ্গী এলাকার স্বামীর বসতঘর থেকে জেসমিন বেগমের গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় একইদিন কোতোয়ালি থানায় গৃহবধূ জেসমিনের বাবা ইউনুস শেখ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়লি থানার এসআই খাইরুল বাসার তদন্ত শেষে ওই বছরের ১৭ জুলাই মিলন শেখকে একমাত্র অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মামলার শুনানি শেষে আদালত গৃহবধূ জেসমিন বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মিলন শেখকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। এ রায়ে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
Leave a Reply